Archive for the ‘যত্তসব হাবিজাবি’ Category


উবুন্টু’র সাথে আমার পরিচয় খুব বেশী দিনের না। দেড় বছরের মত হবে। ব্যবহারের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত নিয়মিতই এটি ব্যবহার করছি। বেশ ভালোই লাগে। ঝামেলা কম।

৮.১০ থেকে ১১.০৪ সবগুলোই চালিয়ে দেখেছি। কিন্তু এবারে ১১.০৪ চালাতে গিয়ে আমি মোটামুটি হতাশই হয়েছি। অবশ্য, অনেকে হয়তো নাও হতে পারেন। ঝামেলা শুরু হয় সেই ডাউনলোড থেকে ….. পর পর দুবার আইএসও ফাইল ডাউনলোডের পরেও কাজ করলো না। পরে ফ্রেন্ডের কাছ থেকে আইএসও সংগ্রহ করলাম। ফ্রেন্ডের কাছ থেকে আইএসও সংগ্রহ করতে গিয়েই ওর পিসিতে চালিয়ে দেখলাম। একটার পর একটা ঝামেলা লেগেই থাকে। সব থেকে বড় যে ঝামেলায় পড়ি তা হল….. রিপোজিটরি ফাইল ডাউনলোডে সমস্যা। অনেক রিপোজিটরি ফাইল ডাউনলোড করতে পারি নি। তাই ১১.০৪ ব্যবহারের পূর্ণ মজা লাভের আশাও অনেকটা ছেড়ে দিলাম। (more…)

গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকা আর্মি স্টেডিয়ামেঅনুষ্ঠিত হয়ে গেলো কিং খান লাইভ ইন ঢাকাঅনুষ্ঠানটি। আর এই অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিলো অন্তর শোবিজ। জমকালো এই অনুষ্ঠানে শাহরুখ সহ অন্যান্য অতিথি শেফালি, অর্জুন রামপাল, এশা কোপিকার, রাণী, নিরাজ পুরোটা সময়ে মাতিয়ে রাখে দর্শকদের।

অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে শাহরুখ মঞ্চে আমন্ত্রন জানান কিছু দর্শককে। তারা মঞ্চে এসে শাহরুখের সাথে সুর মিলিয়ে নাচতে থাকে। সাথে থাকে হিন্দি আর ইংলিশ সংমিশ্রণের অনেক ডায়লগ। অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে শাহরুখের কিছু আচরণ অনেকটা আপত্তিকর ছিলো। কারণ, সেটা আমাদের বাংলাদেশের সংস্কৃতির সাথে খাপ খায় না। আর সেটা নিয়েই অনেকে অনেক কথা বলা শুরু করেছে।

কিন্তু আমরা কি একবারও মনে করেছি, শাহরুখকে গালিগালাজ করে কি লাভ হচ্ছে? আগত সবাই কিন্তু ঠিকই তাদের সংস্কৃতিকে ফুটিয়ে তুলেছে। একটি বারের জন্যও কিন্তু তারা অন্য কোন সংস্কৃতির কাছে হাত পাতে নি। বরং তাদেরটাই সবার সামনে ভালোভাবে তুলে ধরেছে। আর আমরা…..সেটাকে গোগ্রাসে গিলেছি। (more…)

অনেকেই আছেন যারা উবুন্টু ব্যবহার করছেন। আবার অনেকেই আছেন ব্যবহার না করলেও এর নাম নাম নিশ্চই শুনেছেন। তবুও একটু বলে রাখি, উবুন্টু হচ্ছে লিনাক্সের একটি ডিস্ট্রো। লিনাক্স হচ্ছে সোর্সকোড উন্মুক্ত সম্পূর্ণ ফ্রি একটি অপারেটং সিস্টেম। এর মানে হচ্ছে আপনি এটি বিনামূল্যে ব্যবহার করার পাশাপাশি আপনি চাইলে আপনার সুবিধামত এর পরিবর্তনও করে নিতে পারবেন। আর এই উবুন্টুকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে যে কোম্পানিটি কাজ করে যাচ্ছে তার নাম হচ্ছে ক্যনোনিকাল । উবুন্টুকে ছড়িয়ে দেবার জন্য ও উবুন্টু ব্যবহারকারীদের মধ্যে বন্ধন আরো মজবুত করার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উবুন্টুর লোকো টিম গড়ে উঠেছে। লোকো (LoCo) টিম হচ্ছে লোকাল কমিউনিটিউবুন্টু বাংলাদেশ হচ্ছে ক্যানোনিকালের অনুমোদিত বাংলাদেশের জন্য একমাত্র লোকো টিম। উবুন্টু বাংলাদেশ ছাড়া অফিসিয়ালি আর কোনো টিম বাংলাদেশে উবুন্টু বিষয়ক কোন ধরণের কার্যক্রম চালাচ্ছে না। ক’দিন আগে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়া “বন্টু-মিন্টু’র আড্ডা”টির আয়োজনও করেছিল উবুন্টু বাংলাদেশ। সুতরাং বাংলাদেশে উবুন্টু সংক্রান্ত কোন কার্যক্রম পরিচালনা করার একমাত্র অধিকার রাখে ‘উবুন্টু বাংলাদেশ’। তাই অন্য কোন পতিষ্ঠান যদি এমন কোন কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে তবে সেটা হবে সম্পূর্ণ অবৈধ। (more…)


বেশ কিছুদিন আগে জিন্নাত ভাইয়ের ব্লগে এই লেখাটা পড়েছিলাম। প্রচুর হেসেছিলাম লেখাটা পড়ে। আসলেই তো….. আমরা না ডিজিটাল বাংলাদেশে বাস করছি…..??? সুতরাং আমরা তো ডিজিটাল বাংলার ডিজিটাল বাসিন্দা।আমাদের জীবনের সব ক্ষেত্রেই লেগেছে প্রযুক্তির  ছোঁয়া।

তবুও জীবনের কিছু  দিক এই বিশেষ ছোঁয়া থেকে বাদ পড়তে পারে। যেমন, বিয়া-সাদি। অ্যানালগ যুগে তো বাপের কাছে ট্যাকা চাইয়া বহুত পত্র লেখছেন। কিন্তু এই ডিজিটাল জামানায় আইসা নিজের জন্য বৌ খুঁজতে কইয়া বাপের কাছে ক্যামনে ডিজিটাল পত্র লিখতে হয় তার নমুনা নিচেই দেখুন…. (more…)

৯২ বা ৯৩ সালের কথা, বাবা তখন সাতক্ষীরাতে। মায়ের চাকরির সুবাদে আমি আর মা তখন ঝালকাঠীতে থাকতাম। বাবা হয়তো মাসে একবার করে আসতো। এলে খুব মজাই হতো। ছোটবেলা থেকেই বাবার সাথে সম্পর্কটা বন্ধুর মতোই। যাই হোক, যত কথাই হোক তার সাথে শেয়ার করা চাই। একবার সাতক্ষীরা থেকে ফেরার সময় বাবা একটা ইয়াশিকা ক্যামেরা নিয়ে হাজির। ক্যামেরা হাতে পেয়ে আমার তো মহানন্দ। অবশ্য এর আগে কখনো ক্যামেরা হাতে নিয়েছি বলে মনে পড়ে না। যাক, এবার ছবি তোলার পালা…প্রথম দিকের কটা ছবি বাবা নিজেই তুলতো। এরপরে ক্যামেরা এলো আমার হাতে। দেখিয়ে দেয়া হল কি করে ফাইন্ডার দিয়ে কাউকে দেখে ফ্রেমে আটকাতে হয়। জীবনে প্রথমবার ছবি তুলতে যাছি , একে তো চরম উত্তেজনা কাজ করছে অন্য দিকে ভয় করছে …যদি ক্যামেরা হাত থেকে পড়ে যায়..?? তবুও সেই কাঁপা কাঁপা হাতেই শাটার টিপতে পেরেছিলাম। এখনো মনে আছে প্রথম ছবিটা বাবা’র-ই তুলেছিলাম। (more…)

মুভি দেখার বাতিক কোন কালেই খুব একটা ছিলো না। আর সেটা যদি আবার হত বাংলা মুভি তাহলে তো আর কোন কথাই নেই। পা ধরেও আমাকে ওমুখো নেয় কার সাধ্যি…..যাও টুকটাক মুভি দেখতাম তা ছিলো সব হলিউডের থ্রিলার কিম্বা হরোহর টাইপের মুভি।

কিন্তু বড় মামীর কথা শুনে যেদিন ‘আলো’ মুভিটা দেখলাম সেদিন থেকে বাংলা আর্ট ফিল্ম গুলোর প্রতি কেমন জানি একটা আলাদা ভালো লাগা তৈরী হতে থাকে। সেই ভালো লাগা থেকেই এক এক করে বেশ কিছু বাংলা আর্ট ফিল্মও দেখে ফেললাম। আর সেই ভালো লাগা মুভিগুলোর তালিকায় সব শেষে যে নামটি যুক্ত হল …সেই ‘অন্তহীন’। (more…)